শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল॥ দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়ে আমদানি শুরু হয়েছে হিলি, বেনাপোল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। পেঁয়াজ আমদানির প্রথম দিনেই প্রভাব পড়েছে বাজারে। এক দিনের ব্যবধানের স্থানভেদে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
সোমবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে এন আলম ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পেয়েছে ১৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
হিলি আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন রশিদ হারুন কালের কণ্ঠকে বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করায় আজ সোমবার পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।
১৫০ থেকে ২০০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এতে প্রতি কেজি আমদানীকৃত পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার ৫৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে এক হাজার ৫৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে আরো পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এই বন্দরের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বের ইস্যুকৃত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) সংশোধন করে দীর্ঘ বন্ধের পর পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই এ পথে আরো পেঁয়াজ আমাদানি হবে। এতে দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে। দাম অনেক কমে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন (৩ ট্রাক) পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন এক আমদানিকারক। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল বন্ধের পর এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে।
আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দিনই দুই লাখ ৮০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার (৫ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সম্প্রতি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে সরকার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেওয়ার এক দিনের মধ্যে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব পড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুতই খুচরায়ও দাম কমে আসবে।
Leave a Reply